তানভীর আহমেদ,(তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ): ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আলী হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরকে দুবৃক্তরা হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাইপোকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে ওই কিশোরর ফুফু হালেমা খাতুন (৫০ )কেও বেধরক ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে দুবৃক্তরা। আলী হোসেন উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের ব্যবসায়ী ও কৃষক আমিরুল ইসলামের ছেলে এবং হালেমা খাতুন পাশর্^বর্তী বানিয়াগাঁও’র বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী। সোমবার রাতে আশংকাজনক অবস্থায় আলী হোসেন ও হালেমাকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল বারিকের প্রভাবশালী ছেলে আব্দুল কাইয়ুম একই গ্রামের নিরীহ ব্যবসায়ী ও কৃষক আমিরুল ইসলামের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে আব্দুল কাইয়ুম নিজে ও তার পরিবারের ৮ হতে ১০ জনকে সংঘবদ্ধ করে সোমবার রাত আটটার দিকে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আমিরুলের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর লোপাট চালায়।
একই সময় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে থাকা আমিরুলের কিশোর পুত্র আলী হোসেনকে ধরে নিয়ে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে রক্তার্থ জখম করে হত্যা চেষ্টা চালান কাইয়ুম ও তার সাথে থাকা দুবৃক্তরা।, এদিকে ভাইপোকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে ফুফু হালোমাকে বাজারের ভেতর প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে বেধরক ভাবে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায় দুবৃক্তরা।
মঙ্গলবার সন্দায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থানরত উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি কাইয়ুম আমার চার কেয়ার জমি দখল করে বোরো আবাদ করতে মরিয়া হয়ে উঠে, বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে সে এবং তার লোকজন হত্যাচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে এমন বর্বর ঘটনাটি ঘটিয়েছে ।
অভিযোগ অস্বীকার করলেও মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলার বানিয়াগাঁও আব্দুল কাইয়ুম বললেন, আমিরুল হাসপাতাল হতে তার ছেলে ও বোনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলে এ নিয়ে সালিসে বিষয়টি নিষ্পক্তি করা হবে।