লোকমান হাফিজ : সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় মাহফুজুর রহমান ও ফজলুল হক সেলিম দু’জনকেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দদের নিয়ে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিলন আজ দুজনকেই বিজয়ী ঘোষণা করেন। ছয় মাস করে দুজন সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’
উল্লেখ্য যে, সাধারণ সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও ফজলুল হক সেলিম দুজনেই ৬২৭টি ভোট পাওয়ায় এই পদে বিজয়ী প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশন ফলাফল স্থগিত রাখে। মো.এমদাদুল হক বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী সমসংখ্যক ভোট অর্জন করায় এই পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। রোববার সমিতির উপদেষ্টা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসি। বৈঠকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে কী আছে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সভাপতি বলেন, চারটি উপায়ে এই পদে একজনের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে। দুপক্ষের উপস্থিতিতে এই পদের ভোট পুনর্গণনা করা হতে পারে। সেটা করলে হয়ত একটি দুটি ভোটের ব্যবধান হতেও পারে। এই পুনর্গণনা নতুন কিছু নয়।
বছর দুয়েক আগেও সিলেট বারের নির্বাচনের একটি পদে ভোট পুনর্গণনা করা হয়েছে। পুনর্গণনায়ও ফলাফল সমান হলে এই পদে আবারও ভোট গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সেটা না করতে চাইলে আরও দুটি উপায় রয়েছে। এগুলো হলো উৎক্ষেপণ (লটারি) প্রক্রিয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে একজনকে নির্বাচিত করা।
আরও একটি উপায় হলো দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়া। ছয় মাস করে দুজন সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।