সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

শীতে বাচ্চাদের যেসব খাবার দেবেন না

যা যা মিস করেছেন

সাধারণ সময়ের চেয়ে শীতে বাচ্চাদের একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। শীতকালে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশিও বেড়ে যায়। আর বাচ্চাদের মধ্যে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, জ্বর, ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যা তো লেগেই থাকে। শীত বিভিন্ন ধরনের খাবারের জন্য বিখ্যাত। তবে বাচ্চাদের কয়েকটি খাবার থেকে দূরে রাখাই ভালো। না হলে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

বাচ্চাদের এমন খাবার দিন, যাতে বাচ্চাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা না যায়। কারণ শীতকাল টানের সময়। এই সময় বাচ্চাদের শরীরে সহজেই জলের অভাব দেখা যেতে পারে। জেনে নিন শীতকালে কোন কোন খাবার বাচ্চাদের দেবেন না।

নোনতা ভাজাভুজি:

বাচ্চারা নানারকম মুখরোচক খাবার খেতে বায়না করে ঠিকই। কিন্তু শীতকালে বাচ্চাদের নোনতা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার না দেওয়াই ভালো। মাখন বা তেলে থাকা ফ্যাট এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড মিউকাস ও স্যালাইভাকে আরও গাঢ় করে দিতে পারে। তাই এই সময় ভাজাভুজি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

​ক্যান্ডি:

শীতকাল হোক বা গরম কাল, বাচ্চাকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন ক্যান্ডি থেকে দূরে রাখতে। কারণ ক্যান্ডিতে যে সাদা চিনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই শ্বেত রক্তকণিকাই আমাদের নানা ধরনের সংক্রমণ ও অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। বেশি চিনি খেলে ভাইরাল ও ব্যাকটিরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে বাচ্চাদের চকোলেট, ক্যান্ডি, নরম পানীয় দেওয়া বন্ধ রাখুন।

মেয়োনিজ:

মেয়োনিজে আছে প্রচুর পরিমাণে হিস্টামিন। এই হিস্টামিন রাসায়নিক আমাদের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কিন্তু শীতকালে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে হিস্টামিন জমে গেলে মিউকাস বৃদ্ধি করে। ফলে গলা ব্যাথা হতে পারে। মেয়োনিজ ছাড়াও টমেটো, অ্যাভোকাডো, মেয়োনিজ, মাশরুম, ভিনিগার, বাটারমিল্ক, আচারে হিস্টামিন থাকে।

​দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য:

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য হলো অ্যানিম্যাল প্রোটিন। শীতকালে অ্যানিম্যাল প্রোটিন স্যালাইভা ও মিউকাসকে গাঢ় করে দেয়। এর ফলে বাচ্চাদের গলা ব্যথা ও ঢোক গেলায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য বাচ্চাদের বেশি না দেওয়াই ভালো। শীতকালে বাচ্চাদের সর্দি হলে তখন দুধ, চিজ, ক্রিম একটু কম করে খাওয়ান।

​মাংস:

মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যার ফলে মিউকাস বৃদ্ধি হতে পারে। মিউকাস বাড়লে গলায় সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং ডিম এই সময় দেওয়া একদমই উচিত নয়। তার বদলে শীতকালে বাচ্চাদের বেশি করে মাছ খাওয়ান।

 

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security