মন্ত্রিসভার নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এখন ফরিদুল হক খানকে দফতর দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, তাকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
ফরিদুল হক খান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত জামালপুর জেলার ইসলামপুরের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফরিদুল হক।
ফরিদুল হক ১৯৫৬ সালের ২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. হবিবর রহমান খান ও মাতার নাম মোসাম্মৎ ফাতেমা খানম। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
ফরিদুল হক খান দশম সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমান একাদশ সংসদেও একই পদে রয়েছেন। পেশায় ব্যবসায়ী ফরিদুল দুই কন্যাসন্তানের জনক।
এদিকে, গত ১৩ জুন রাতে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। পরে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে।
কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী না থাকলে সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেই থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দলটি। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ৬ মন্ত্রণালয় রাখা হয়।
মন্ত্রিসভা গঠনের প্রায় সাড়ে ৪ মাসের মাথায় তা পুনর্বিন্যাস করা হয়। গত বছরের ১৯ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। একই দিন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।