স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেক গ্রেফতারের পর এখন মুখ খুলছেন অনেকেই। তুলে ধরছেন তার অপরাধের খতিয়ান। গাড়ি চালকের প্রভাবের কাছে অসহায় অধিদফতরের কর্মকর্তাদের আক্ষেপ ‘পরজন্মে চালক’ হবেন। আবার কেউ কেউ চেষ্টা করছেন সাফাই দেয়ারও। তবে তার এই প্রবল ক্ষমতার উৎস কী- এই প্রশ্নের মুখে কুলুপ তাদের।
স্বাস্থ্য ডিজি হতে চাই না, আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা ডিজির ড্রাইভার হয়ে মরতে চাই, রিটায়ার্ড হতে চাই। আমি ডিজি হতে চাই না।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেক গ্রেফতারের পর এভাবেই আক্ষেপের কথা শোনাচ্ছিলেন এক চিকিৎসক। তার কথাতেই উঠে আসে কতটা প্রভাবশালী ছিলেন অধিদফতরের এই গাড়ি চালক।
তিনি বলেন, মালেক ড্রাইভারের কারণে আমরা অফিসে আসতে পারতাম না। তার দলবল নিয়ে হয়রানি করতো। বলতে গেলে ডিজি অফিসটা মালেকের বাবার অফিস।
মালেক এখন জেলে, তবু অধিদফতর জুড়ে যেন ছড়িয়ে আছে তার জাল। সহকর্মীরা অনেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যারা কথা বলছেন, তারা গাইছেন গুণকীর্তন।
তাদের দাবি, কেউ বিপদে পড়লে হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা আর চাকরি দিয়ে সাহায্য করতেন মালেক। তাহলে তার সেই ক্ষমতা বা টাকার উৎস ছিল কী? সেখানে নিরব তার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও।
একজন বলেন, যদি কোনো অধস্তন কর্মকর্তার এত প্রতিপত্তি হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেই কার্যালয়ের যে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছেন তার আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে থাকে।
আব্দুল মালেকের মেয়ে ও ভাই অধিদফতরের অফিস সহকারী পদে, ভাতিজা ও এক নিকটাত্মীয় অফিস সহায়ক পদে, ভাগ্নে ও ভায়রা ড্রাইভার বড় মেয়ের জামাতা ক্যান্টিন পরিচালনা করছেন।
মালেকের মেয়ের জামাই অধিদফতরের ক্যান্টিন লিজ নিলেও এখনো তা পরিচালনা করা হয় সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী দিয়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে মালেকের এত ক্ষমতার উৎস কী?