দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এমন একটি শাস্তির কথা বলছিলেন। অপরাধের গুরুত্ব বুঝে ধর্ষককে জনসমক্ষে ফাঁসি বা চিরজীবনের মতো নপুংসক করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি যে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন, সাংবাদিকদের তা জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরানের কাছে যা এখনও ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে, তাকে আইনে পর্যবসিত করে ফেলল আফ্রিকার একটি দেশ। চলতি সপ্তাহেই ধর্ষণের সাজা নিয়ে নাইজেরিয়ায় নতুন আইন পাস হয়েছে। এই আইনের ফলে ধর্ষককে অস্ত্রোপচার করে নপুংসক করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্রে কোনওরকম ছাড় নেই। নয়া আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যে এই মর্মে একটি আইন পাস হয়েছে চলতি সপ্তাহে। নতুন আইনে বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সি কাউকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হলে, সাজা মৃত্যুদণ্ড। বাকি ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীকে অস্ত্রোপচার করে নপুংসক করে দেওয়া হবে।
কাদুনার গভর্নর নাসির আহমেদ আল রুফাই মনে করেন, নয়া আইনে শিশুদের ধর্ষণের মতো ভয়ানক অপরাধ থেকে রক্ষা করা যাবে। তিনি মনে করেন এই শাস্তির কোনও বিকল্প নেই। এর প্রয়োজন ছিল।
নাইজেরিয়া এই রাজ্যে এর আগে ধর্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সংখ্যালঘু ধর্ষণের ক্ষেত্রেই এই সাজাভোগ করতে হতো। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ধর্ষণ করলে, ২১ বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল। গত জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে আফ্রিকার এই দেশটিতে ধর্ষণের ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। পাঁচ মাসে ৮০০- এর বেশি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই নাইজেরিয়ার কাদুনার রাজ্য সরকার ধর্ষণের আইন সংশোধন করল। ইন্ডিয়া টাইমস।