গ্রিসে অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়শিবির আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে বাস্তুহারা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ হাজার মানুষ। লেসবস দ্বীপে অবস্থিত ওই আশ্রয়শিবিরে এখন শুধুই হাহাকার। ওই শিবিরটি মোরিয়া ক্যাম্প নামে পরিচিত। এটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৩ হাজারেরও কম মানুষ থাকার উপযোগী করে। কিন্তু সেখানে গাদাগাদি করে অবস্থান করতে থাকে ১৩ হাজার অভিবাসী। আগুন লাগার পর শিবিরে প্রচ- ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এতে অনেকে মারাত্মক আহত হয়েছেন।
অনেকে সেখান থেকে পালিয়েছেন। গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের দিক থেকে আগুন লেগেছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানান নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা যাতে ওই ক্যাম্প ছেড়ে পার্শ্ববর্তী শহরে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য পুলিশ ক্যাম্প থেকে শহরমুখী সচ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে তাদের সঙ্গে থাকা অবশেষ জিনিসপত্র নিয়ে বন্দরনগরী মাইটিলেনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। কিন্তু তাদের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগুন লাগার পর অনেকে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের হোম অ্যাফেয়ার্স কমিশনার ইভা জোহানসন বলেছেন, নিঃসঙ্গ টিনেজার ও শিশুদের ৪০০ জনকে তিনি মূল ভূখন্ডে আবাসনের ব্যবস্থা করবেন।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা কোনস্টানন্টিনোস বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে ওই ক্যাম্পের তিনটি স্থানেরও বেশি জায়গায় আগুন লাগে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইআরটিতে তিনি বলেছেন, এ সময় অগ্নিনির্বাপণকারীদের সেখানে যেতে বাধা দেন অভিবাসীরা। এ সময় প্রচন্ড বাতাস ছিল। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।