স্বনামধন্য অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই। আজ ভোর ৬ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সি এম এইচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এই অভিনেতার গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে হলেও তার জন্ম ঢাকার লালবাগে। নাটদ্যল ‘থিয়েটার’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’।
সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলামের হুবুহু নাট্যরূপে কামাল উদ্দিন নীলুর নির্দেশনায় ‘কিংলিয়ার’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। টিভিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।
১৯৬৭ সালে কে এস ফিরোজ বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি নেন।
১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তার আগে ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর মাধবী’র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কে এসে ফিরোজের তিন মেয়ে রয়েছে। তারা হচ্ছেন- নাদিয়া, সাদিয়া ও রাবেয়া জাহান ফিরোজ। কে এস ফিরোজ প্রথম ‘লাওয়ারিশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বহুদিন বিরতি নেন চলচ্চিত্রে। এরপর আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, মুরাদ পারভেজ’র ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘বৃহন্নলা’তে অভিনয় করেন। টিভিতে তার প্রথম আলোচিত নাটক জিয়া আনসারী প্রযোজিত ‘প্রতিশ্রুতি’।
কে এস ফিরোজ সম্প্রতি সকাল আহমেদ’র ‘ফুলমহল’ এবং মনিরুজ্জামানের ‘শূণ্যতা’ নাটকে অভিনয় করেছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন কে এস ফিরোজ
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।