বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

১২ হাজার ৫৪৩টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেছে

যা যা মিস করেছেন

দেশের ১২ হাজার ৫৪৩টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল  বুধবার একটি রিট পিটিশনের শুনানিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাইকোর্টকে জানিয়েছে, দেশের লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা সরকারের কাছে থাকলেও, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের কোনও তালিকা নেই।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. ফরিদ হোসেন মিয়ার দেওয়া এই তথ্য আদালতকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিদপ্তর আদালতকে জানায়, কভিড ও নন-কভিড হাসপাতালের সংখ্যা, নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে রয়েছে। লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা সরকারের কাছে আছে। কিন্তু কতগুলোর লাইসেন্স নেই, তার কোনো তালিকা নেই। লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরকার অভিযান চালাচ্ছে। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো অবহেলার ঘটনা ঘটলে সে সম্পর্কে প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য বাতায়নে অভিযোগ করা যায়। জনগণ যেকোনো সময় অভিযোগ করতে পারে। এ সময় রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। এরপর আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।

রিট আবেদনে করোনা পরীক্ষাকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা প্রকাশ, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সারা দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম ও সংখ্যা প্রকাশ, যেসব হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেসব হাসপাতাল মনিটরিংয়ে প্রতিটি থানায় একটি করে কমিটি গঠন, রিজেন্ট থেকে ভুয়া করোনার সনদ দেওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ, রিজেন্টের প্রতারণার শিকার প্রত্যেক রোগী থেকে নেওয়া ফি ক্ষতিপূরণসহ (২৫ হাজার টাকা করে) ফেরত প্রদান, করোনার সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি সপ্তাহে তাদের সেবা নিয়ে পরিপূর্ণ একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাতে পাঠায় সে জন্য একটি নীতিমালা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এর আগে হাইকোর্ট গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ২ সেপ্টেম্বর (আজ) আদালতকে জানাতে বলেছিলেন যে দেশের কতগুলো বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স আছে এবং কতগুলোর নেই। এ কারণে সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত অধিদপ্তরের কাছে এসব তথ্য জানতে চান।

করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে গত ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা (উত্তরা ও মিরপুর) বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ১৯ জুলাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

চোরাই গাড়ি সহ আটক-১

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security