স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের ২০০টিরও বেশি কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে। এর মধ্যে ১৪১টি কোম্পানি প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে এবং ২৫টি কোম্পানি এই ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষা করার পর্যায়ে আছে। এসব কোম্পানির ভ্যাকসিনের গুণাগুণ বিচার বিশ্লেষণ করে বাজার জাতের প্রথম পর্যায়ে এবং সবার আগে যেন বাংলাদেশ পায় সেটি নিশ্চিত করাই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অনলাইনে এক মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারাও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিপ্তরের মহাপরিচালকসহ স্বাস্থ্যখাতের ভ্যাকসিন খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের দেশে দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে জানতে চান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তা অবহিত করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কোভিড সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট জানেন এবং দেশে সবার আগে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে দ্রুত হালনাগাদ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও যুক্ত ছিলেন আইডিসিআর,বি এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসাদুল বারি, ফেরদৌস কাদেরী, খালিকুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।