বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর চান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পৃথক বিবৃতি ও ভিডিও বার্তায় মাজেদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের কথা জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা দেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, ১৫ আগস্ট একটি স্বপ্নকে যারা হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে এই খুনি মাজেদ ছিল অন্যতম। একটি দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক এই মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করলে জাতির মনের আশা পূরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে আমার এপিএস প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল আলম মিন্টুকে মাজেদ নির্মমভাবে টর্চার করে হত্যার পর বুড়িগঙ্গায় লাশ ফেলে দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে, অনেক মুখোশধারীর মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
নাসিম বলেন, খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড রায় হয়েছে, তা কার্যকর অবশ্যই করতে হবে। আমরা চাই তার মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর হোক। কিন্তু তার আগে এই খুনিদের ও খুনের নেপথ্যে কারা আছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে জানা যাবে এই খুনের নেপথ্যের অন্যান্য খুনিরা কোথায় পালিয়ে আছে। আমি অনুরোধ করবো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। জানতে হবে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার হত্যার পেছনে মদদদাতা কারা। কাদের ভরসায় খুন করেছে, তা বের করতে হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। রায় কার্যকরে আইনগতভাবে যা করার সেটা শুরু হয়ে গেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আরও পাঁচ দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনী- রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, কর্ণেল রশিদ ও মুসলেহউদ্দিন রিসালদাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জোরদার প্রচেষ্টার দাবি জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এই জাতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়। পৈশাচিক ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, একটি দল ও তার আদর্শকে নিশ্চিহ্নের অপচেষ্টা করা হয়নি বরং একটি সদ্য স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
সূত্র: জাগো নিউজ