একপ্রকার ক্রেতা-দর্শনার্থী খরার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এ মেলায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। মেলার গেট ইজারা নিয়ে মোটা অংকের লোকসানে পড়েছেন ইজারাদার।
ক্রেতা-দর্শনার্থী খরার এই বাণিজ্য মেলায় কী পরিমাণ পণ্য বিক্রি হয়েছে এবং কত রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে তার কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতি বছর এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করলেও এবার তা করেনি।
মেলার ইজারাদার ও অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত এক দশকের মধ্যে এবার বাণিজ্য মেলায় সব থেকে কম ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন। মেট্রোরেলের কাজ এবং মেলা চলার মাঝে তিনদিন বন্ধ থাকায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলার প্রথম থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর খরা দেখা দেয়। প্রথম দুই সপ্তাহ ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। প্রথমার্ধ্ব যাওয়ার পর ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ে। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় তা বেশ কম।
মেলার ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের মালিক মীর শহিদুল বলেন, এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব কম। সাড়ে ৭ কোটি টাকা দিয়ে মেলা ইজারা নিয়েছি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয় ৯ লাখের মতো। এত কম দর্শনার্থী এর আগে কখনো হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালে নির্বাচনের কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। তবে এবারের মতো এতো কম ছিল না।
গত বছর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ইপিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রফতানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল ২০০ কোটি টাকা। আর দর্শনার্থী হয়েছিল ৫০ লাখ। এবার দর্শনার্থীদের বিষয়ে মেলার ইজারাদারের তথ্য সঠিক ধরলে গত বছরের তুলনায় পাঁচ ভাগের একভাগ দর্শনার্থী এসেছে।
তবে মেলার সময় বাড়ানোর কারণে শেষ দিকে অনেক দর্শনার্থী হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারগুলোতে তো ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় ছিল। ইজারাদার ৯ লাখ দর্শনার্থীর যে কথা বলেছেন, সেটা তার হিসাব। ঠিক কত দর্শনার্থী হয়েছে, সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই, তবে আমাদের আশানুরূপ ক্রেতা-দর্শনার্থী হয়েছে।