প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের জনগণের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন মানুষের কিন্তু পুলিশের ওপর একটা আস্থা বিশ্বাসও ফিরে এসেছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করি।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গত সাড়ে নয় বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাংলাদেশের হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে স্বীকৃতি বাংলাদেশ পেয়েছে, তা ধরে রাখতে হলে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দেন সরকারপ্রধান।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের কোনো কর্ম ঘণ্টা নাই। বিএনপি জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে পুলিশ বাহিনী। সে সময় প্রায় ২৭ জন পুলিশ নিহত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা দেশকে উন্নত করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পুলিশ বাহিনী দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এভাবেই মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে। বিশ্বে আর কারও কাছে হাত পাতবে না বাংলাদেশ।
এ সময় পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আসলে কাজের কথা বিবেচনা করে আমি দেখেছি, পুলিশ বাহিনীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখেছি মাত্র ২০ শতাংশ পুলিশ রেশন পেতো, আমি সেখান থেকে তা বাড়িয়ে দিয়েছি, ঝুঁকি ভাতা চালু করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেছি।
এ ছাড়াও সদ্য চালু করা গাজীপুর ও রংপুর মেট্রপলিটন পুলিশ ইউনিট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, গাজীপুর ও রংপুরের উন্নয়নে এই দুই পুলিশ ইউনিট ভূমিকা রাখবে। এর ফলে এসব অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়বে, ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও জনসাধারণ নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, গাজীপুর ও রংপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর সেখানে মহানগর পুলিশ প্রতিষ্ঠায় ২০১৫ সালে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়।
সংসদে সেই আইন পাস হলে গঠিত হয় গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও রংপুর গাজীপুর মহানগর পুলিশ। দুই নগরে নিয়োগ দেওয়া হয় পুলিশ কমিশনার।
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, নতুন গঠিত আটটি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইতোমধ্যে ১ হাজার ১৫২ জন লোকবলও নিয়োগ করা হয়েছে।
আর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ যাত্রা শুরু করছে ছয়টি থানা নিয়ে। মোট ১ হাজার ১৮৫ জন লোকবল নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করছে এই নগরীর পুলিশ।
দুই মহানগর পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাননের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। আর ঢাকার গণভবনের অনুষ্ঠানে পুলিশ ও র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।