ইভিএম নিয়ে নূরুল হুদা বলেন, বর্তমান নিয়মে নির্বাচন করতে হলে মোমবাতি থেকে শুরু করে হাজার রকমের জিনিসপত্র লাগে।প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই, তা মানুষের হাতে হাতে, চিন্তার জগতে প্রবেশ করেছে মন্তব্য করে নূরুল হুদা বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হল- আমরা নির্বাচন কমিশন এখনও সেই ধানি ব্যাগ, সেই ঘোড়ার গাড়ি, রিকশা ভ্যান দিয়ে নির্বাচনী সামগ্রী বহন করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যেতে হয়। রাতে পাহারা দিতে হয়… কখন এসে বাক্সের মধ্যে ছিনতাইকারী ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেবে এসব চিন্তা করতে হয়।”
সিইসির ভাষায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নির্ভর করবে আইন-কানুনের ওপর, প্রশিক্ষণের ওপর, মূল অংশীজন বিশেষ করে রাজনৈতিক দল বা তাদের সমর্থনের ওপর।
ইভিএম কিনতে ইসির প্রস্তাবিত প্রকল্পের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে কিনা- সে প্রশ্ন তোলাও অপরাধের কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“ইভিএমের টাকার দায়িত্বটা ইসির কাছে আসবে না- এটা নিশ্চিত করেই আমরা এগিয়েছি। এটার অর্থনৈতিক দিক রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কোথাও যদি অপচয়, মিস ইউজ হয়- এসব মাথায় রেখে আমরা বিরত থেকেছি। আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে এ দায়িত্ব সরকারের কাছে রাখা হয়েছে।”
সিইসি বলেন, ইভিএমের প্রাথমিক ব্যয় বেশি হবে যন্ত্রের দামের কারণে। তবে তখন ভোট গ্রহণে ‘হাজার রকম’ সামগ্রী প্রয়োজন হবে না। ভোট পরিচালনার জন্যে ৭০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় আইন শৃঙ্খলায়। ইভিএমে সেখানেও সাশ্রয় হবে। এসব মেশিন বারবার ব্যবহার করা যাবে।
অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মশালার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন।