সকাল ৯টার পরও থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।
বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, পাঁচজনকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল চারজনকে, তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা যান।
অন্য তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ডা. নয়ন জানান।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
কারা এই সংঘর্ষে ছিল- জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, “ইউপিডিএফের প্রসিত গ্রুপ ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এই দুই পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
এবছরের ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিঠুন চাকমাকে। এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছিল ইউপিডিএফ।
এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরের হরিনাথপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফকর্মী দীলিপ কুমার চাকমাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার চার দিন পর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সুভাষ চাকমা নামের আরেক ইউপিডিএফকর্মী খুন হন।
গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি শহরের পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সূর্য বিকাশ চাকমা নামে একজন নিহত হন। তিনিও ইউপিডিএফের দুই অংশের বিরোধের কারণে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।
এরপর গত ৪ মে খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথে খুন হন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের অন্যতম শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজন।