আজ শনিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। আগামী ৩০ জুলাই এ তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে সিলেটে ৭ জন, রাজশাহীতে পাঁচজন এবং বরিশালে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা, বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের টেবিল ঘড়ি, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বাস, সিপিবি-বাসদ প্রার্থী আবু জাফর মই, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনে প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন হাত পাখা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র মুরাদ মোর্শেদ।
বরিশালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নৌকা, বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস লাঙল, বাসদের মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী মই, সিপিবির প্রার্থী একে আজাদ কাস্তে ও ইসলামী আন্দোলনের ওবায়দুর রহমান মাহবুব হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, ভোটের আগে দেয়া ইশতেহার, পুরোপুরি বাস্তবায়ন কঠিন হলেও সে চ্যালেঞ্জ নিতে সদিচ্ছা থাকা জরুরি বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনরাত মাঠ চষে বেড়ানো, সিলেট সিটি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন গত বুধবার। ৩৩ দফা ওই ইশতেহারে নগরবাসীর সামনে তুলে ধরেন দেশের প্রথম ডিজিটাল নগর গড়ে তোলার স্বপ্ন। জানান সিলেটকে নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা।
এর একদিন পর নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় ‘নতুন আগামীর সিলেট’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সদ্য সাবেক এই মেয়র।
উন্নয়ন অঙ্গীকার দিতে পিছিয়ে নেই অন্য মেয়র প্রার্থীরাও। তবে, প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ফুলিঝুড়িতে নয়, অতীক কর্মকাণ্ড ও যোগ্যতা বিবেচনায় রেখেই নতুন নগরপিতা নির্বাচিত করতে চান ভোটাররা।
নাগরিক সমাজ বলছে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সদিচ্ছা থাকাটা জরুরি।
এদিকে, সময় ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীদের প্রচারণার মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী সিটির ভোটাররা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে নগরবাসীকে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
ভোটারদের মন জয়ে নানা অঙ্গীকার করছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও। তবে নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার আলোচনায় এখন শুধু ভোটের হিসেব। দলীয় প্রতীক নয়, নগরের অভিভাবক নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
এক্ষেত্রে কঠিন হলেও ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সিলেটে ৭জন, রাজশাহীতে পাঁচজন এবং বরিশালে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।