রবিবার, মে ৫, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিত্সা পাবেন

যা যা মিস করেছেন

মুক্তিযোদ্ধাদের পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূলে চিকিত্সা সুবিধা প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য কোনো খরচ করতে হবে না মুক্তিযোদ্ধাদের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিত্সাসেবা ফ্রি ঘোষণা করেছে। কিন্তু সীমিত সম্পদের কারণে অনেক সময় জটিল রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যয়বহুল চিকিত্সাসেবা ব্যয় বহন করতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘাটতির জায়গাটুকু পূরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে ইতিমধ্যে প্রাথমিক বরাদ্দের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গতকাল রবিবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যসেবা) সিরাজুল হক খান ও মুুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব অপরূপ চৌধুরী স্বাক্ষর করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন সায়াহ্নে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের উপজেলা, জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বা বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিত্সাসেবা প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিত্সাসেবায় এগিয়ে আসার  আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহত্ উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সম্মান ও গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে পরিচয় দেওয়ার সাহস করেন মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে হয়রানি ও অবহেলার শিকার হয়েছেন।

হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহসহ সর্বোত্তমভাবে সকল চিকিত্সাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। সকল ধরনের চিকিত্সা, পরামর্শ, শল্য চিকিত্সা, হাসপাতাল কর্তৃক সরবরাহযোগ্য ওষুধ, বেড সরবরাহ, পথ্য এবং নার্সিং ইত্যাদি চিকিত্সাসেবা অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে হাসপাতালে প্রদত্ত নিয়মিত সরকারি বরাদ্দের অতিরিক্ত চিকিত্সা সেবার প্রয়োজন হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করা যাবে।

এই সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয়  ও বিশেষায়িত পর্যায়ে আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security