সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০টি বহুতল ভবন উদ্বোধন

যা যা মিস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর মতিঝিল এবং আজিমপুর সরকারি কলোনি এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১০টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেছেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার অংশ হিসেবে সকালে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মতিঝিলে ৪টি ২০ তলা ভবনে মোট ৫৩২টি এবং আজিমপুরে ৬টি ২০ তলা ভবনে মোট ৪৫৬টি ফ্লাটের উদ্বোধন করা হয়।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে জনসেবা করা। আমরা আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। জাতির পিতার বলেছিলেন, এদেশে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে শতকরা ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে সেটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কাজ শুরু করি। বর্তমানে দেশে ১৮৭০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

এ সময় তিনি সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধিসহ কর্মস্থলে তাদের পদবীগুলোকে যুগোপযোগীকরণে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের সাফল্যের জন্য সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য সম্পাদনের প্রশংসা করে বলেন, আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ভবনগুলোতে অবস্থানকারীদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার বিদ্যুৎ ও পানি উৎপাদনে অনেক টাকা ভতুর্কি দিয়ে যাচ্ছে। কজেই এগুলোর ব্যবহারে সকলকে যত্নবান হতে হবে, ঘর থেকে বের হবার সময় নিজের হাতেই বিদ্যুতের সুইচটি বন্ধ করের যেতে হবে, পানির কলটিও নিজেকে বন্ধ করতে হবে, যাতে পানির অপচায় না হয়।
এসব কাজ নিজের হাতে করায় কোন লজ্জা নেউ উল্লেখ করে তিনি নিজেও ব্যক্তি জীবনে এসবের চর্চা করে থাকেন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী নিজের ফ্ল্যাট এবং আশাপাশের এলাকা, লিফট, সিঁড়ি-এগুলো ব্যবহারকারীদের নিজেদেরই পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকার সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরের বর্জ্য নির্দিষ্টস্থানে ফেলার জন্য বলেন।
দুটি অনুষ্ঠানেই সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আজিমপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং মতিঝিলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার উভয় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী আজিমপুর কলোনির বক্তৃতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে আজিমপুর কলোনিতে থাকার কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছোট ভাই শেখ কামালকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা নৌকায় করে গোপালগঞ্জ থেকে আজিমপুর কলোনিতে এসে এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। জাতির পিতা তখন কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।
নিজেকে আজিমপুর গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এই এলাকাটি তাঁর শৈশব থেকেই অত্যন্ত পরিচিত। সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে দেশ স্বাধীন হবার পর পরই জাতির পিতা কলোনির ভবনগুলোর একটি করে তালা বাড়িয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় আছে বলেই আজ উন্নয়নটা দৃশ্যমান হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ যখনই নৌকায় ভোট দিয়েছে তখনই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ অন্যান্য শহরে বহুতল বিশিষ্ট মোট ২৩টি আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ সকল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন আয়তনের মোট ৯৭০২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ১৯টি প্রকল্পের আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মোট ৮১৯০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বাসস

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security