আদেশে বলা হয়, খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। সে পর্যন্ত জামিনের ওপর চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
এর ফলে অন্য সব মামলাতেও যদি জামিন হয়, তারপরও আগামী এক মাসে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার এ মামলায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়ার ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরের দিন ২৯ মে জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। ৩১ মে নির্ধারিত দিনে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন জামিন স্থগিত করা হয় এবং মামলাটি শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করা হয়। পরে ২৪ জুন শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করে।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।