রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার তদন্ত আড়াই বছরেও শেষ করতে না পারায় তদন্ত কর্মকর্তাদের সবাইকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
বুধবার এসব মামলার কয়েকজন আসামির জামিন শুনানিতে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারার বিষয়টি উঠে এলে হাই কোর্ট এই নির্দেশ দেয়। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের অন্তত ৫৬ মামলার মধ্যে কয়েক মামলার আসামি ফজলুস সোবহান, শিপার আহমেদসহ কয়েক জনের জামিন শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবালসহ সব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (৩০ মে) হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এর ফলে ওইসব তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মামলাগুলোর নথিসহ নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হতে হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে। এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৬ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তার বাইরে অন্য আসামিরা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।