পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাগির এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আগের তুলনায় নিবন্ধন কেন্দ্রে ভীড় অনেক বেড়েছে। প্রথমদিকে নিবন্ধনের আগ্রহ খুব বেশি দেখা না গেলেও এখন প্রচুর রোহিঙ্গা নিবন্ধনের জন্য আসছেন। নিবন্ধন কর্মীদের দিনভর ছবি তুলে ও তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।’
সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ছবি তুলছেন, তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করছেন এবং একইসাথে তাদেরকে একটি করে ছবি সম্বলিত নিবন্ধন কার্ড ধরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মত। এই গতিতে নিবন্ধন চললে আগামী এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা তথ্যভান্ডারের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে এই তথ্যভান্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
পাসপোর্ট অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান জানান, রোহিঙ্গা তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ তদারকি করতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ছয়টি রোহিঙ্গা নিবন্ধন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান।
এ সময় তিনি বায়োমেট্টিক নিবন্ধন বিষয়ে রোহিঙ্গা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং খোঁজ-খবর নেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আরও বুথ বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি। যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন চলছে তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ শেষ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মহাপরিচালক।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শুরুর দিকে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র ও যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখন এসব অনেকটাই কেটে গেছে। রেজিস্ট্রেশন সেন্টারগুলোতে রোহিঙ্গাদের ভীড় বেড়েছে। বেড়েছে রেজিস্ট্রেশনের গতি। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভীড় ঠেলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ছবিযুক্ত কার্ড সংগ্রহ করছে রোহিঙ্গারা। সচেতন রোহিঙ্গারা এই কার্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখলেও অধিকাংশই ভীড় করছে কেবল ত্রাণের আশায়। বিভিন্ন সহযোগিতা পেতে নিবন্ধন কার্ডের গুরুত্ব বোঝানোর পর থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা।