‘বিশ্ব ডিম দিবসে’ বিক্রি শুরুর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হলো ডিম বিক্রি। জনতার ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও চরম শৃঙ্খলাহীন পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার পর এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মূলত সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) তিন টাকায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। ২০ হাজার ডিম দেওয়া হতো। একজন পেতেন ৯০টি করে।
তবে সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ লাইনে দাঁড়ান। এতো মানুষের ভিড়ে পুরো ইনস্টিটিউশনে গোলমালের সৃষ্টি হয়। যোগানের চেয়ে মানুষের চাহিদা বেশি হওয়ায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশ এতো মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে।
তিন টাকা পিস ডিম কিনতে মানুষজন সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো শুরু করেন বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। ৯টার মধ্যে এ লাইন কেআইবি চত্বর ছাড়িয়ে ফার্মগেট, বিজয় স্মরণী পার করে। লাগে দীর্ঘ যানজট।
মানুষের ভিড়ে প্রচুর ডিম ভেঙে গেছে। রাস্তায় দেখা গেছে ডিম ভেঙে সয়লাব। তবুও যেগুলো বেঁচেছে তা পরবর্তীতে বিলিয়ে দেওয়া বা কম মূল্যে নির্দিষ্ট বাজারে বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে।
আয়োজকরা জানান, এক লাখ ডিম বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল । আধা ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৮০ হাজার ডিম বিক্রি হয়ে যায়।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর সদস্য মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন টাকায় ডিম বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আজ আর ডিম বিক্রি হবে না। ভবিষ্যতে আমরা আবারও বড় পরিসরে ডিম বিক্রির এরকম আয়োজন করবো। ক্রেতাদের অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।’
রাজধানীর মিরপুর থেকে আগত ক্রেতা বলেন, ‘তাদের ঘোষণার কারণেই আমরা ডিম সংগ্রহ করতে এখানে এসেছিলাম। তারা যদি সঠিকভাবে বিতরণ করতে না পারেন, তবে এই আয়োজনের কোনও প্রয়োজন ছিল না।’