বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বড় হচ্ছে ঈদ অর্থনীতি

যা যা মিস করেছেন

ঈদকে সামনে রেখে সেজে উঠেছে রাজধানীসহ দেশের ছোট-বড় সব বিপণিবিতান। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে মার্কেটে।

EID 17 the mail bd

উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটায় ব্যস্ত। ফলে বাড়ছে ঈদ অর্থনীতি। টাকার অঙ্কে যা প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বোনাস। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আরও প্রায় দেড় কোটি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বোনাস। এ পরিমাণ টাকার সবই ঈদ অর্থনীতিতে যুক্ত হয়ে তাকে আরও চাঙা করছে।

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদে টাকার প্রবাহ বাড়ে। কারণ, ঈদে মানুষ নানাভাবে টাকা খরচ করে। নতুন পোশাক ছাড়াও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের জন্য খরচ বাড়ায়। ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসায় খরচ বাড়ে। ঈদে আনন্দ ও ভ্রমণেও অতিরিক্ত টাকা খরচ করার প্রবণতা দেখা যায়।’

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু নতুন পোশাক কেনাকাটায় যাচ্ছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ভোগ্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যুক্ত হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।

ধনীদের দেওয়া জাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে যোগ হচ্ছে ৬৭ হাজার কোটি টাকা। ইফতার ও সেহরি বাবদ যোগ হচ্ছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ঈদকেন্দ্রিক বিনোদনে যুক্ত হচ্ছে আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, পরিবহন খাতে ঈদের ঘরে ফেরা আর কাজে ফেরাতে যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ৭০০ কোটি টাকা।

বিপণি বিতানগুলোয় উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজার এখনও জমেনি। মানুষের আনাগোনা থাকলেও বেচা-বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে ধারণা করছেন তারা। আর তা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ঈদুল ফিতরে মানুষ মূলত পোশাক কিনতে পছন্দ করে বেশি। বিশেষ করে থ্রি পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি কেনার ঝোঁক বেশি থাকে।’ ঈদের বাজারে মানুষজন যেন দেশীয় পণ্য কেনায় আকৃষ্ট হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, ইস্টার্ন প্লাজা, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি মার্কেটসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেখা গেল, ভারতীয় পোশাকে ক্রেতাদের আগ্রহটা বেশি। তবে শাড়ির দোকানগুলোতে তুলনামূলকভাবে ভিড় ছিল কম।

নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউসিয়া, ধানমন্ডি হকার্স, গাউসল আজম মার্কেট, রাইফেলস স্কয়ার, ক্যাপিটাল মার্কেট, ধানমন্ডি প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি ও বাচ্চাদের পোশাক কেনায় আগ্রহী বেশি ক্রেতারা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই নামি-দামি সব ধরনের পোশাকসহ ঈদের সব সামগ্রীই পাওয়া যায়। তবুও ঈদ এলে মানুষ কেন যেন ছুটে যায় পাশের দেশ ভারতে।’

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘গত রোজ ঈদের শপিং করতে দেড় লাখের মতো বাংলাদেশি ভারতে গিয়েছিলেন। গত বছরের চেয়ে এবার হয়তো আরও বেশি মানুষ যাবে। এতে ঈদ শপিংয়ের দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা চলে যাবে ভারতের বাজারেই।’

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security