দশম সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তির দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালনে ঢাকার বাইরে সব জেলা-উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল আর রাজধানীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আগামী ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের দিনটিতে কালো পতাকা মিছিল করবে ওই নির্বাচন বর্জন করা দলটি। আর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের দিন রাখা হয়েছে ৭ জানুয়ারি।
বুধবারনয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা জানিয়েছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়া সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল, মুখে কালো কাপড় পরিধান ও বুকে ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিও পালন করা হবে।
রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন জানিয়ে রিজভী বলেন, সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে সহিংসত হরতাল-অবরোধের মধ্যেও সরকার নির্বাচন করে।
২০১৬ সালে বিএনপি এই দিনটিতে রাজধানীতে সমাবেশ করলেও আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতেও ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচি পালনের কথা বলছে দলটি।
রিজভীর দাবি, ৫ জানুয়ারির ভোটে নির্বাচিত সরকার অবৈধ। সরকার এখন পুলিশ নির্ভর হয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে বিরোধী দল দলনের জন্য ব্যবহার করছে। বর্তমান সরকারের আমলে নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার বেআইনি সরকার বলেই নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না।
আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রিজভী আহমেদ। তিনি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
‘পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন যৌক্তিক’
বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামা আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন রিজভী। সরকার অবশ্য বলছে, তিন বছর আগে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী দুই বছরেও বেতন বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তবে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি,বাসা বাড়ির ভাড়া বৃদ্ধিসহ মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি,আধা সরকারিসহ সাধারণ মানুষের বর্তমানে ত্রাহি অবস্থা তাই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে পেশী শক্তি প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান হবে না।
সরকারকে পোশাক মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের ‘যৌক্তিক’ দাবি মেনে নেয়ার দাবি বিএনপির এই নেতা।