শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বোমাবাজির পর ১৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ‘অস্বচ্ছতার’ বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন দমনের জন্য উপাচার্য আমিনুল হক ভুঁইয়া পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগও তুলেছেন এই নেতা-কর্মীরা।
আন্দোলনকারী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মুখপাত্র বলেন, “উপাচার্য আমাদের অন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বন্ধ করে দিয়েছেন।”
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দিলে সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ দিকে আজ বুধবার সকালে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছাত্রদের হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ছাত্রীদের হল খোলা থাকবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন। এর আগে ছাত্রলীগের দুই গ্রপের দফায় দফায় গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর শাবিপ্রবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে সব ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল এবং সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
এ ছাড়া ছাত্রদের আবাসিক হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার সকালে রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, অঞ্জন রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান সমর্থিত গ্রুপকে ধাওয়া এবং কক্ষের দখল নেওয়ার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতে শাহপরান, বঙ্গবন্ধু ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা ও গুলি উদ্ধার করে।
মুখপাত্র সারওয়ার বলেন, গত ২৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিনসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয়কে আটক করে জালালাবাদ থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করে বলে সারওয়ারের অভিযোগ।