ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে সাগরতলে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩ মিনিটে সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সাগরতলের এ ভূমিকম্পে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
ওই এলাকার বেশ কিছু ভবন ভেঙে পড়েছে, অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। পিদি জায়া শহরের ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট চিফ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের মুখপাত্র সুতোপো নুগ্রহ এক বিবৃতিতে বলেন, শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে; ভবনধসের আগে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া ছবিতে ভূমিকম্পের পর ধসে পড়া ভবন ও বিদ্যুতের খুঁটি এবং রাস্তায় আতঙ্কিত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল আচেহ প্রদেশের ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর এক ঘণ্টায় অন্তত পাঁচটি পরাঘাত অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। তবে সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। এক যুগ আগে ২০০৪ সালে ৯ দশমিক ২ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের ঊপকূলে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের অনেক জনপদ ভেসে যায়। সেবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার; কেবল আচেহ প্রদেশেই মারা গিয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।