সুন্দরবন ধ্বংসে রামপাল প্রকল্পের প্রতিবাদে ঢাকামুখী যাত্রা ও মহাসমাবেশে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানেই সমাবেশ করা হবে।
তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেন এ সময় সরকার এতে বাধা দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ ও সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে ২৪ নভেম্বর ঢাকামুখী যাত্রা ও ২৬ নভেম্বরের মহাসমাবেশ উপলক্ষে জাতীয় কমিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, “সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ৩৫ লাখ মানুষ জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর ৪ কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।”
আনু মুহাম্মদ বলেন, “সরকারকে আবারও বলি, বিজ্ঞাপনী মিথ্যাচার, হামলা, হুমকি ও নিপীড়নের তৎপরতা বন্ধ করুন। রামপাল, রূপপুর, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, জাতীয় কমিটির সাত দফাই বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান এবং টেকসই উন্নয়নের পথ দেখাতে পারে।”
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে আনু মুহাম্মদ বলেন, “পুলিশের অনুমতির ব্যাপারে সব নিয়ম করেই করছি। সব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করতে চাইছি। সরকার যে দমনপীড়নের পথ নিয়েছে, তা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানিয়েছি, তারা যাতে নজরদারি রাখে। আশা করছি, সরকার মহাসমাবেশে কোনো বাধা দেবে না।”
দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে ২৪ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু হবে। এই যাত্রা শেষে ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করা হবে।