প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই। এটা খালেদা জিয়া ও তার দলের সিদ্ধান্ত। আজকে তারা সংসদের বিরোধী দলও না। তাদের নির্বাচনে না আসার দায় বাংলাদেশের মানুষ কেন নেবে?’
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি, মৎস্য ও ফিসারিজ জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনে না আসার দায় বাংলাদেশের মানুষ কেন নেবে? মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাস এবং মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা।’
বিএনপির আন্দোলন পদ্ধতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আন্দোলন মানেই জনগণকে পুড়িয়ে মারা, হত্যা করা খুন করা। আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা থেকে শুরু করে কী ধরনের কাজে যে তারা করেছে। আসলে এদেশের স্বাধীনতা তারা চায় না, বিশ্বাস করে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পর ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। আমাদের মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়ে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২১ বছর এদেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে।
বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের একটি প্রজন্ম সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে। যেসব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে তাদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা। ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করে।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সমুদ্রসীমা আইন করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা সমুদ্রসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিই। ২০০৮ সালে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মামলায় জয়ী হই। এখন আমাদের সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগাতে হবে। তাই কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত করে জাতিকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করতে চাই। কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। জামানত ছাড়া ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রেজাল্ট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ভর্তির আবেদন অনলাইনে নেয়া হচ্ছে। ২০০ রকম সেবা দিচ্ছি অনলাইনে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন মুখের কথা নয়। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করছি।