বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিমানবন্দরে হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে

যা যা মিস করেছেন

Turosko the mail bd

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রধান বিমানবন্দর আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুয়ায়ী আহতের সংখ্যা ১৪৭। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের প্রবেশমুখে একটি চেক পয়েন্টে পৌঁছায় ৩ বন্দুকধারী। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে বন্দুকধারীরা টার্মিনালে অপেক্ষমান যাত্রীদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। চেকপয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের নিস্ক্রিয় করা চেষ্টা করলে মুহূর্তের ব্যবধানে বন্দুকধারীদের একজন নিজের শরীরে জড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, হতাহতরা অপেক্ষমান যাত্রী ও বিমানবন্দর কর্মী হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

আহতদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইস্তাম্বুল জেলা প্রশাসন। কমপক্ষে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে জরুরি সেবা দিয়েছে।

হামলার পর আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বাতিল করে যাত্রীদের হোটেলে ফেরত পাঠানো হয় বলে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান।

এর আগে এক কর্মকর্তা জানান, ওই বিমানবন্দরের কিছু ফ্লাইট অন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বছর তুরস্কে বেশ কয়েক দফায় বোমা হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইস্তামবুলের পর্যটন এলাকায় দুই দফা আত্মঘাতী হামলা হয়, যার জন্য আইএসকে দায়ী করা হয়।

এছাড়া রাজধানী আঙ্কারায় দুটি গাড়ি বোমা হামলা হয়, যার দায় স্বীকার করে একটি কুর্দি জঙ্গি গ্রুপ।

প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, হামলার ধরন দেখে আইএস জঙ্গিদের কাজ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরে এক বন্ধুকে বিদায় জানাতে আসা স্যু সাবাজ গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন। গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর টয়লেটে আশ্রয় নেয়া এ নারী বেরিয়ে আসেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, প্রথমে তিনি গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। এর পরপরই শুনতে পান বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। শব্দ শুনে তিনি নিশ্চিত হন যে, এটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। পরে আরো গোলাগুলির শব্দে বিমানবন্দর এলাকা প্রকম্পিত হয় বলেও জানান এ প্রত্যক্ষদর্শী।

গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত স্যু সাবাজ প্রথমে বিমানবন্দর নামাজের কক্ষে ঢুকে পড়েন। অবস্থা গুরুতর ভেবে সেখান থেকে ঢুকে পড়েন পাশের একটি টয়লেটে। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন আরো এক নারী। প্রায় ২০ মিনিট ধরে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের এ তাণ্ডব চলে বলে জানান তিনি।

বিমানবন্দরের মেঝেতে গুলিবিদ্ধ মানুষের রক্ত গড়িয়ে যেতে দেখেন স্যু সাবাজ। বলেন, রক্তের মধ্যে বুট জুতোর ছাপও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।

 

বিমানবন্দরে এ হামলার দায়িত্ব এখনো স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বন্দুকধারীদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি। বন্দুকধারীদের কেউ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে কি না তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security