কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের ব্যারাকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জানান।
ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’ আটক রোহিঙ্গাদের নাম, ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে আটক সবাই মিয়ানমারের নাগরিক বলেও দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। নাম, পরিচয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানান র্যাব কমান্ডার।’
গত ১৩ মে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে হামলা চালায় অজ্ঞাত ৩৫ থেকে ৩৫ বন্দুকধারী। হামলায় নিহত হয় ক্যাম্পে দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার আলী হোসেন। হত্যার পাশাপাশি বন্দুকধারীরা ক্যাম্প থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
আনসার ক্যাম্পে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরআগেও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার নুরুল আবছার আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে নুরুল আবছার জানিয়েছে, অস্ত্র সংগ্রহের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরএসও আনসার ক্যাম্পে হামলা এবং অস্ত্র লুট করেছে।
নুরুল আবছার জবানবন্দীতে আরো বলেছেন, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে ফারুক, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক।