...
মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০২৪

শার্শার বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজারে প্রকাশ্যে চলছে অপরিপক্ক আম ক্রয়বিক্রয়

যা যা মিস করেছেন

আবু বকর ছিদ্দিক রনি, শার্শা প্রতিনিধিঃ
এখন চলছে বাংলা বৈশাখ মাস। গাছে গাছে ঝুলছে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমী ফল। কিছুদিন পরেই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে এসব সুস্বাদু ফলের সমারোহ ঘটবে বাজারে। কিন্তু তার আগেই অপরিপক্ক আমে সয়লাব যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজার।

এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক গোবিন্দ ভোগ ও হিমসাগর আম বাজারজাত শুরু করেছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মণ আম বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আম ব্যবসায়ীদের কাছে। যা খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা।

তবে অভিযোগ উঠেছে, বেলতলা বাজারের ফলের আড়তগুলোতে প্রকাশ্যে অপরিপক্ক এসব গোবিন্দ ভোগ ও হিমসাগর আম প্রদর্শন করে তা বিক্রি করলেও সেদিকে প্রশাসনের তেমন সুদৃষ্টি নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই অপরিপক্ক এসব আম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে এ বিষয়ে তাদের বাজার তদারকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বারের মতো এ বছর কখন কোন আম বাজারে আমদানি এবং বিক্রি করা যাবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা ও সময় বেধে দিবে প্রশাসন। তাদের নির্দেশনা আসার আগেই এ সব অপরিপক্ক আমে সয়লাভ হয়ে গেছে এ বাজার। নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্রাক ভর্তি হচ্ছে অপরিপক্ক আম এবং চলে যাচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন আমের আড়তগুলোতে। এমনকি আগেভাগেই তা পাকানোর জন্য দেয়া হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাজারের প্রায় সব ফলের আড়তে প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভ্যান/নসিমন/করিমন এ নিয়ে আসা হচ্ছে অপরিপক্ক আম।

বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকালে বেলতলার আমের আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ আড়তগুলোতে ভ্যান ও নসিমন করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা হয়েছে এসব অপরিপক্ক আম। যা থেকে নামিয়ে গুদামজাত করছেন আড়তদার ব্যবসায়ীরা। এমনকি বিক্রির জন্য তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনও করা হচ্ছে।

ওসমান ফলভাণ্ডার এর স্বত্বাধিকার ওসমান বলেন কৃষি অফিসার অনুমতি দিয়েছে। কাঁচা আম যদি হিমসাগর গোবিন্দভোগ সব রকমের আম ভেঙে কাঁচা বিক্রি করতে পারবেন যত পারবেন।কোন সমস্যা নাই।

কায়বা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার বলেন, এমন কথা বলিনি। তবে আমি ব্যবসায়ীদের অপরিপক্ক আম ক্রয়বিক্রয় করতে নিশেধ করেছি এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্যারকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এব্যাপারে শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করলে বিকালে তিনি সরজমিনে এসে বিভিন্ন আড়তে এর সত্যতা পান।এসময় তিনি আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের সতর্কতা থাকার পরামর্শ দেন।পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ চলমান থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.