ফেনীর পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রকাশ্যে কিল-ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ পরশুরামের বিলোনীয়া স্থলবন্দর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল বাসার তপন মন্ত্রীকে শলিয়া এলাকায় নামানো চেষ্টা করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম রকিব হায়দার তাতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নেতা প্রকাশ্যে দায়িত্বরত ইউএনওকে কিল ও ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করেন। আহত নির্বাহী কর্মকর্তা রকিব হায়দারকে পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হামলার বিষয়টি জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ও স্থানীয় এমপি শিরিন আখতারকে অবহিত করেন।
জেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম রকিব হায়দার অজ্ঞান থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছেন তপন ইউএনওকে ডাকলে তিনি কথা না শুনায় মারধর করেন।
পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাবিবুল করিম জানান, ইউএনও মাথায় আঘাত পেয়েছে। আঘাতের কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেছেন। সিটি স্ক্যান না করলে আপাতত কিছু বলা যাবে না।
খায়রুল বাশার তপন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপকর্ম চালানোর চেষ্টা করলে ইউএনও বাধা দেয়। এতে তপন ক্ষীপ্ত হয়ে ইউএনওকে মারধর করে। তপন এলাকার চুরি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে খায়রুল বাশার জানান, ইউএনও হামলার শিকার হয়েছে ঘটনাটি শুনে আমি দেখতে এসেছি। যে হামলা করছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নয়।