টাইগাররা যে এখন পরিণত দল তাতে সন্দেহ নেই নিন্দুকেরও। মাঠে এর প্রমাণও দেয়া হয়েছে বেশ ক’বার। তবে বোলার ও ফিল্ডারদের কৃতিত্বের আরো একটি প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের আসরে। এশিয়া কাপের পরপর দুই ম্যাচে বোলিং করে কোনো অতিরিক্ত রান দেয়নি আল আমিন-তাসকিনরা।
সেটিও আবার দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে! পাকিস্তানের সঙ্গে জিতলেও ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে যায় স্বাগতিকরা।
বৃষ্টির কারণে ভারতের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফাইনাল গড়ায় ১৫ ওভারে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে টাইগারবাহিনী। ম্যাচে হারলেও বল হাতে আল-আমিন, নাসির, মাশরাফিরা কোনো অরিরিক্ত রান দেয়নি। এর আগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে বল করে কোন অতিরিক্ত রান দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা।
পরপর দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অতিরিক্ত রান না দেয়ার তালিকা আছে কিনা ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশি বোলাররা যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাও বা কম কিসে!
এশিয়া কাপের আগে দেশবাসির প্রতি মাশরাফিদের প্রতিশ্রুতি ছিল ভাল খেলার। ভাল খেলেই একে একে এশিয়ার তথা বিশ্ব পরাশক্তির দুই চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে মাটিতে নামিয়ে মাশরাফিরা দেখিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটকে।
৫০ ওভারে বাংলাদেশ নিজেদেরকে প্রমাণ করেছেন অনেক আগে থেকেই। বিশেষ করে ২০১৫ সাল বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক স্বর্ণযুগের অধ্যায়ও বলা যেতে। কিন্তু টি২০তে বাংলাদেশ সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি।
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে টাইগারা প্রমাণ করেছে টি২০তেও তারা শক্তিশালি। উপমহাদেশের দুই পরাশক্তিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
যদিও বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপরও এশিয়া কাপ বাংলাদেশকে যেন দুহাত ভরেই দিয়েছেন। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আল আমিন ও ব্যাটিং সাব্বির সর্বোচ্চ রান করেন টুর্নামেন্টে।