মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

আর্থিক সহায়তা চায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডারগার্টেনগুলো

যা যা মিস করেছেন

করোনার তাণ্ডবে দেশের কিন্ডারগার্টেনগুলো কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছে বলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা কামনা করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ। শেখ হাসিনার সরকারই কিন্ডারগার্টেনগুলোর শিক্ষার্থীদেরও বই দেয়া শুরু করেছে। একথা মনে করিয়ে দিয়ে তারা করোনায় সৃষ্ট মহা সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে কিন্ডারগার্টেনগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেবার দাবি জানিয়েছেন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তিমালিকানাধীন স্কুল এবং কলেজগুলো সরকার বা অন্য কোন সংস্থার কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া সম্পূর্ণ ব্যক্তিমালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। এর সংখ্যা সরকার গঠিত টাস্কফোর্সের আনুমানিক পরিসংখ্যান ৬০ হাজার। বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশিও হতে পারে।

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এই ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সকল শ্রেণির প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। সেই সাথে নিজ উদ্যোগে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লেখা চিঠিত ইকবাল বাহার, বর্তমান বিশ্বে যে করোনা মহামারী চলছে তা মোকাবেলার জন্য গত ১৬ মার্চ দুপুরে অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো আমরাও আপনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের সকল ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করি। এসব প্রতিষ্ঠান ৯৯ শতাংশ ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত বলে মাসিক সম্পূর্ণ আয়ের ৪০ শতাংশ ঘর ভাড়া, ৪০ শতাংশ সম্মানিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, বাকি ২০ শতাংশ বা তারও বেশি গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ভর্তুকি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমি আশঙ্কা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ঈদুল ফিতরের পরে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে? যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে এপ্রিল মাসের ঘর ভাড়া, সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দের ৩ মাসের বেতন ভাতা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য ব্যয়ভার এই ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়বে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকলেই দিশেহারা। তারা সবাই বর্তমানে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন। একদিকে করোনা মহামারী আতঙ্ক, অন্যদিকে জীবিকা নির্বাহ। আমাদের অনেকের শেষ আশ্রয়স্থল প্রাইভেট টিউশনিও বন্ধ। আপনার মহানুভবতায় পোশাক-কর্মী, কৃষককরা ব্যাংক থেকে নানাভাবে সাহায্য পাবে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধা ভোগ করবে। কিন্তু আমরা ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালকবৃন্দ এই বিশাল ব্যয়ভার কিভাবে বহন করব? যেখানে কোনও বাণিজ্যিক ব্যাংক আমাদের লোন পর্যন্ত দেয় না।’

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সুবিবেচনা ও বিশেষ মানবিকতা কামনা করে চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সকল ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই বিশাল ব্যয়ভার বহনের জন্য প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ব্যয় অনুপাতে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করলে এই বিশাল শিক্ষক সমাজ আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে এবং আপনার কথা মনে রাখবে।’ উদাহরণ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যেভাবে কিন্ডারগার্টেনে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। যেটা আগের সরকারগুলোর সময় হতো না।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security