অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের সাত মাস যেতে না যেতেই গর্ভবতী স্ত্রীকে ফেলে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছে দুলাভাই। এতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে বড় বোন সুজিনা বেগম পড়েছে বিপাকে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউপির আগুণ্ডেরা গাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউপির আগুণ্ডের গাঁও গ্রামের ফয়জুল ইসলামের মেয়ে সুজিনা বেগমকে বিয়ে হয় একই ইউপির পূর্ব ঘিলাতলি গ্রামের রিয়ান উল্লাহর ছেলে হরুফ আলীর। তাদের বৈবাহিক সূত্রে স্ত্রী সুজিনা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শ্যালিকা রোকেয়া বেগমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হরুফ আলী।
গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে রেখে শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন হরুফ আলী। শ্যালিকা রোকেয়াকে নিয়ে ঈদের মার্কেট করার কথা বলে দুলাভাই হরুফ আলী পালিয়ে যায়। গত বছর শাশুড়িকে ‘ধর্মের মা’ ডাকার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগ পায় হরুফ আলী। আসা যাওয়ার একপর্যায়ে স্ত্রী সুজিনা সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। পরে গত বছরের অক্টোবর মাসে সুজিনাকে নিয়ে পালিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করে হরুফ আলী।
স্থানীয়রা জানান, হরুফ আলী দুষ্টু প্রকৃতির লোক। সে এর আগে গ্রামে আরো একাধিক ঘটনা করেছে। এলাকার মেয়েরা তার ভয়ে একা বের হতে ভয় পায়। স্ত্রী সুজিনাকে বিয়ে করার আগে হরুফ আলী পার্শ্ববর্তী গ্রাম জাহাঙ্গীর গাঁও গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। এতে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম হওয়ার পর পর ওই স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে বিয়ে করে সুজিনাকে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে হরুপ আলীর মামলা চলমান।
সুজিনা ও রোকেয়ার বাবা ফয়জুল হক জানান, ভিক্ষা করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমাদের পরিবারে যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুজিনা বেগম বলেন, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। আমি আমার স্বামীকে চাই। স্বামীর সুষ্টু বিচার চাই।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর জানান, হরুফ আলীকে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএমবি/এইচ