বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

আমৃত্যু পেনশন সুবিধা খসড়া প্রণয়ন

যা যা মিস করেছেন

আমৃত্যু পেনশন সুবিধার বিধান রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২’-এর খসড়া। এতে অংশ নিতে পারবে ১৮-৫০ বছর বয়সের বাংলাদেশি নাগরিকরা। তারা বিদেশে থাকলেও এ সুযোগ নিতে পারবে। দুস্থ নাগরিকদের মাসিক চাঁদার একটি অংশ অনুদান হিসাবে দেবে সরকার। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ খসড়া আইনে বলা হয়, সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা এখানে অংশ নিতে পারবে না। এতে বেসরকারি পর্যায়ের লোকজন অংশ নিতে পারবে। প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি হওয়া যাবে। একজন অংশগ্রহণকারী ধারাবাহিকভাবে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। প্রতি চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে।

এ আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের অর্থ দিয়ে গঠন করা হবে পৃথক তহবিল। যার অর্থ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া পেনশনের অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ইলেক্ট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। অর্থ মন্ত্রণালয় খসড়াটির ওপর মতামত চেয়েছ।

চাকরিরত চাঁদাদাতারা কাজের জায়গা পরিবর্তন করলে পূর্ববর্তী হিসাব নতুন কর্মস্থলের বিপরীতে স্থানান্তরিত হবে। নতুনভাবে হিসাব খুলতে হবে না। এই কর্তৃপক্ষ মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত করবে। মাসিক এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দেওয়া যাবে, প্রয়োজনে অগ্রিম ও কিস্তিতে জমার সুযোগ থাকবে। মাসিক চাঁদা দিতে দেরি হলে, বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে পেনশন হিসাব সচল রাখা যাবে। চাঁদাদাতারা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।

তবে পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। কিন্তু কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

পেনশন তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে উত্তোলন করা যাবে। বিপরীতে ধার্যকৃত ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। তবে পেনশনের চাঁদা কর রেয়াতমুক্ত থাকবে। মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থও আয়করমুক্ত থাকবে।

এই আইন কার্যকরের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হব। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য থাকবে পেনশন কর্তৃপক্ষের। সরকার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিযুক্ত করবেন। তবে এর ব্যয় নির্বাহ করবে সরকার।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security