নতুন বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ স্থানীয় সরকার সমবায়মন্ত্রীর।
রবিবার ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত একযুগে আমাদের গড় আয় ম্যাজিকের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ দেশের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের আয় ছিল ৭০০ ডলার নিচে। গত এক যুগে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫ শো ৫৪ ডলারে। চলতি বছরের মধ্যে তিন হাজার ডলারে উন্নীত হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে নগরবাসীর চাহিদার অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং খুলনাতেও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনসহ সারাদেশের মানুষের পানির চাহিদা পূরণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।ঢাকাবাসীকে গুণগত মানসম্পন্ন পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং কাজ চলছে। পানি সরবরাহের জন্য স্থাপিত পাইপ লাইনগুলো অনেক পুরনো এবং অধিকাংশ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন সেগুলো পরিবর্তন করে উন্নতমানের পাইপ বসানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে ৬০ শতাংশ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পানির মান উন্নয়ন এবং সরবরাহ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ফেজ-১ ও ২ শেষ হয়েছে। এখন সায়েদাবাদ ফেজ-৩ এর নির্মাণ কাজ চলছে। এসব উন্নয়ন কাজের ফলে ইতোমধ্যে শতভাগ পানির সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
ওয়াসাতে অনেক অভিযোগ আসে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তা সমাধানে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষিসহ সকল খাতকে সমান প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। ইতোমধ্যে খাদ্য ঘাটতি ও শতভাগ বিদুৎতায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পৌঁছানো সম্ভব।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়