বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

শচীনের এক যুগ কাটে অস্থিরতায়

যা যা মিস করেছেন

২৪ বছরের সুদীর্ঘ ক্রিকেটজীবনের একটা লম্বা সময় তিনি উদ্বেগ, অস্থিরতা নিয়ে কাটিয়েছেন দিনের পর দিন। এক কিংবা দুই নয়, টানা দশ-বারো বছর। পরের দিকে অবশ্য শচীন রমেশ টেন্ডুলকার বুঝতেন, এই মানসিক উদ্বেগ আর অস্থিরতা সবই আদতে তার ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি পর্ব।

‘মানসিক সুস্থতা’- এই শব্দবন্ধ মহামারির সময় প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ক্রিকেটারসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। মানসিক সুস্থতা নিয়ে বলতে শুরু করেছেন। মানসিকভাবে ভালো থাকাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্রিকেটারদের কাছে।

সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে শচীন নিজের উদাহরণ টেনে বলেন, এসবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে আমি বুঝতে পেরেছি, শারীরিকভাবে ফিট থাকলে বা প্রস্তুত থাকলেই চলে না। মানসিকভাবে ভালো থাকাটাও সমান জরুরি। আমার ম্যাচ মাঠে শুরু হত না। তার অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে যেত। টেনশনও হত প্রবল। অস্থির লাগত।

এরপরই তিনি বলেন, ‌‘প্রায় ১০-১২ বছর আমাকে এই অস্থিরতা নিয়ে কাটাতে হয়েছে। ম্যাচের আগে রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি। পরের দিকে বুঝতে পারি, আমার প্রস্তুতির এটাও একটা বড় অঙ্গ। পরের দিকে অবশ্য মনের সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম, ম্যাচের আগের দিন যদি ঘুমাতে না পারি, তাহলে মনকে ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করব।

শচীন জানান, ম্যাচের আগে তিনি শ্যাডো করতেন। ভিডিও গেম খেলতেন। টিভি দেখতেন। তিনি বলেন, কখনও কখনও চা বানানো বা নিজের জামাকাপড় ইস্ত্রি করাও আমার ম্যাচ প্রস্তুতিতে কাজ দিত।

‘ম্যাচের আগের দিনই আমি আমার ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিতাম। এটা দাদা আমাকে শিখিয়েছিল। পরের দিকে যা অভ্যাস হয়ে যায়। ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার দিনও তা-ই করেছি আমি,’ বলেন ক্রিকেটের লিটল মাস্টার। তার কথায়, ক্রিকেটারের জীবনে চড়াই-উতরাই থাকবেই। কিন্তু উতরাইকে মেনে নিতে পারাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security