বর্তমানে বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের নিরিখে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
এমতবস্থায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) এর প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মানুষ যখন করোনাকে হালকাভাবে নিতে শুরু করেছে তখনই হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন।”
তিনি মানুষকে সতর্ক করে বলেন, জনগণ কোভিড -১৯ নির্দেশিকা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “করোনার নয়া স্ট্রেনের জন্যই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। ফেব্রুয়ারির দিকে যখন করোনার সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল যে, ভাইরাসটি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ এখনও এই রোগটিকে হালকাভাবে নিচ্ছে। আপনি যদি বাইরে যান তবে দেখতে পাবেন যে বাজার, রেস্তোঁরা এবং শপিংমলগুলোতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এই জায়গাগুলো এখন সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছে।”
রণদীপ গুলেরিয়া আরও বলেন, “আগে একজন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারত। এখন সেটা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন একজন সংক্রমিত ব্যক্তি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। অর্থাৎ প্রথমে একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লোক সংক্রমিত হত না। এখন খুব মুশকিল হলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ লোক সুরক্ষিত থাকে। কিছু বাড়িতে গোটা পরিবার আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।”
ভারতজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির সব থেকে বড় কারণ হিসেবে মাস্ক না পড়া, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে না চলাকেই এইমস প্রধান দায়ী করেছেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া