বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

নির্মাণ ত্রুটির দায় নিতে হবে ভবন মালিককে

যা যা মিস করেছেন

নির্মাণে ত্রুটি থাকলে বাধ্যতামূলক দায় নিতে হবে ভবন মালিককে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ত্রুটিযুক্ত দায় বীমাও করতে হবে। এসব ধারা যুক্ত করে চলতি মাসের মধ্যে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশন ও বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ভবনের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো নিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। এ অবস্থায় বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে ভবন নির্মাণে মালিকের দায়ের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেয় বিশ্বব্যাংক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যেসব আইন ও বিধি সংস্কারের শর্ত রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা যুগোপযোগী করার ওপর।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই ধারাগুলো যুক্ত করে বিধিমালাটি সংশোধনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাগিদ দিয়ে আসছিল। এমনকি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিধিমালাটি সংশোধনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে টাইমফ্রেম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে কর্র্তৃপক্ষের ঢিলেমির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়- ৩টি ধারা যুক্ত করে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে বিধিমালাটি সংশোধনের। তিন নম্বর ধারাটি হলো- ইমারত নির্মাণে পেশাদারদের জন্য সর্বনিম্ন অভিজ্ঞতার শর্ত আরোপ করা। বিধিমালাটি সংশোধনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং সিডিএ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দেশে ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ প্রচলিত আছে। ২০০৬ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। ২০০৮ সালে ঢাকা মহানগর (ইমারত নির্মাণ বিধিমালা নামে আরেকটি বিধিমালা করেছে রাজউক। তবে ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোতে উচ্চভবন নির্মিত হওয়ায় ২০০৬ সালের সারা দেশের জন্য জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালাটি সংশোধন জরুরি বলে মনে করছে বিডা।

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম  বলেন, ইজি অব ডোয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নতির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার সংস্কার অন্যতম। বিশেষ করে রানা প্লাজা ধস কিংবা তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ডের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়ায় বাংলাদেশে ভবনের গুণগত মানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে কাউকে না কাউকে দায় নিতে হবে। আমরা পুরোপুরি কমপ্লায়েন্স না করতে পারলেও নির্মাণ ত্রুটির বিষয়ে যদি বাধ্যতামূলক দায় চাপাতে পারি, তবে ভবনের গুণগত মান বা কোয়ালিটি অব কনস্ট্রাকশনের বিষয়ে সতর্ক হবে মালিকপক্ষ। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সে কারণেই এই ধারাগুলো যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security