রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২ জানুয়ারি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-
২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবারের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। তিনি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণকার্যক্রম প্রচলন করে তিনি দেশে এবং সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে সামাজিক সুরক্ষাভুক্ত বিভিন্ন ভাতার হার ও পরিধি অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ করছে। এ সকল কর্মসূচি দেশের দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদাপূরণ, সামাজিক সুরক্ষা এবং জনগণের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত, পশ্চাৎপদ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে নিরলস সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এবং তাদের মানবসম্পদে পরিণত করে দারিদ্র্যবিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তাপ্রদানের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে, সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সকলের
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো-এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”