বছরের শেষ দিনে নতুন চমক বচ্চন পরিবারের তরফে। ক্যামেরা নয়, এ বারে মাইকের সামনে মাতলেন পরিবারের সদস্যরা। তারই ছবি পোস্ট করলেন অমিতাভ বচ্চন। পাশে তাঁর আদরের নাতনি আরাধ্যা।
সুরের মতো সুন্দর আর কী হয়? সম্ভবত নতুন বছরের হাতছানিকে সাদরে গ্রহণ করার সবচেয়ে সুন্দর পন্থা এটাই।
গান গাইলেন তাঁরা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে না এলেও ছবিতেই তাঁদের উৎসাহের আভাস মিলেছে। তাঁদের মনের ভিতরটা যে সুরে ভরা, সেটাও টের পেয়েছেন নেটা পাড়ার বাসিন্দারা।
অমিতাভের পোস্ট করা ৩টি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে নেটদুনিয়ায়। একটিতে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন দাদু-নাতনি৷ আনন্দের আমেজ তাঁদের মুখে স্পষ্ট। দু’জনেরই গলায় ঝুলছে মাস্ক। সামনে মাইক। আরাধ্যার কানে হেডফোন। দাদু অমিতাভ নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতের মুদ্রায় ‘ভি’ দেখাচ্ছেন।
‘ভি ফর ভিকট্রি!’ কিন্তু কিসের জয়? কিসের থেকেই বা জয়? যে ৪ জনকে মাইকের সামনে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাচক্রে তাঁদের প্রত্যেকেরই কোভিড হয়েছিল। সম্প্রতি কোভিড জয় করে ফিরেছেন তাঁরা। পুরনো বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে কি সেই দুঃসহ স্মৃতিও ভুলে গিয়ে জয়ের আমেজে নতুন বছর শুরু করতে চলেছেন তাঁরা? জল্পনা চলছে।
আর একটি ছবিতে পরিবারের চারজন সদস্য একসঙ্গে ধরা পড়েছেন। প্যানোরামা স্টাইলে তোলা ছবি। ফলে ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্যমান। সোফায় বসে দাদু-নাতনি জুটি। উল্টোদিকে মাইকের সামনে গানে মেতে রয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। পাশে দাঁড়িয়ে অভিষেক। চলছে রেকর্ডিং।
তিন নম্বর ছবিতে বাবা-ছেলের জুটি। মাস্ক মুখে সোফায় বসে রয়েছেন দু’জনে।
দাদু-নাতনির ছবির ক্যাপশনে অমিতাভ লিখলেন, ‘যখন দাদু আর নাতনি স্টুডিয়োয় মাইকের সামনে সুর সৃষ্টিতে মশগুল’। পাশে বেশ কয়েকটি হার্ট ইমোজি।
প্যানোরামা ছবিতে লেখা, ‘আগামিকাল ভোর…। উৎসবের শুরু…। কিন্তু কীসের জন্য? আরও একটা দিন, আরও একটা বছর। সে আর এমন কী! বরং পরিবারের সঙ্গে মিলে সঙ্গীত সৃষ্টি করা যাক’।
