কথায় বলে সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু সব সময় এই কথা সত্যি তা নয়। অ্যাডিলেডের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্ট ভারত যে এভাবে হারতে পারে তা আন্দাজ করতে পারেননি অতি বড় সমর্থক। প্রথম দিন তিনশো করতে না পারলেও দ্বিতীয় দিনে যেভাবে ভারতীয় বোলাররা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন, সেই ম্যাচে যে এরকম করুণ পরিণতি হতে পারে কে জানত? দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটিং তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে বোধহয় কল্পনাতেও ভাবা যায়নি। কিন্তু সেটাই হল শনিবার সকালে।
৪, ৯, ২, ০, ৪, ০, ৮, ৪, ০, ৪, ১ – এটাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রত্যেকের রান ৷ সর্বোচ্চ রান ময়াঙ্ক আগরওয়াল (৯)-এর ৷
গতকাল,শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভারতের রান ছিল, ৬ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান ৷ এদিন ওই রানের সঙ্গে আর মাত্র ২৭ রানই যোগ করতে পারে ভারত ৷ একসময়ে মাত্র ১৯ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতের ৷ প্যাট কামিন্স ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ৷ হ্যাজলউড আরও নির্মম ৷ তাঁর দখলে পাঁচ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সংগ্রহ চার রান। একরাশ লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরছেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। বার্নস এবং স্মিথ জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। আট উইকেটে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিল অজিরা। নিঃসন্দেহে বলা যায় এই লজ্জার হারের পর বাকি তিনটি টেস্টেও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে ভারতীয় দলের জন্য। বিরাট কোহলি ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। এই অবস্থা বজায় থাকলে কী হবে তা ভেবেই ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের।