বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হয় তাকে। একেবারেই পরিজন ঘেরা ছিল সমাহিত করার সেই আয়োজন।
বিবিসি জানায়, করোনা সংক্রমণের শঙ্কা উপেক্ষা করে লাখো ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন শেষবারের মতো প্রিয় ফুটবলারের কফিন স্পর্শের আশায়। আগতদের সবারই চোখে জল, হাতে ফুল। কারো পরনে ছিল ১০ নম্বর জার্সি নয় ম্যারাডোনার ছবি সম্বলিত পোশাক। কেউ দূর থেকেই প্রিয় মানুষটির হাওয়ায় ছুড়ে দিয়েছেন চুমু।
উল্লেখ্য, বুয়েন্স আয়ার্সের বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের সমাধির পাশে সমাহিত করার আগে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদায় ম্যারাডোনার কফিনটি রাখা হয় ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ম্যারাডোনা। পরিবার থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মস্তিস্কে। একটু সুস্থ হতেই ফের বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়িতেই বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবলের অমর জাদুকর। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মনোমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল এই বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।
১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি জেতাতে পারেননি।