কে. এম. সাখাওয়াত হোসন (স্টাফ রিপোর্টার) : একটি সেতুর অভাবে শ্রীপুর, বিশ্বনাথপুর, বৈঠাখালি, কাইতাপুর নোয়াপাড়া, বামনগাও, সেনপাড়াসহ ৮-১০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ নদী পাড় হয়ে, পানিতে ভিজে ২-৩ কিলোমিটার ঘুরপথে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাতায়াত করে আসছিলেন। চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি কওমি মাদ্রাসা ও তিনটি গীর্জা রয়েছে ওই সকল গ্রামগুলোতে।
সেতু না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ও মদ্রাসার আসা-যাওয়া, হাট-বাজারে যাতায়াতসহ নানা কাজে দীর্ঘদিন যাবত গ্রামবাসীরা দুর্ভোগে পোহাচ্ছিলেন। গর্ভবর্তী নারীসহ ওই সকল গ্রামবাসীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা হাসপাতালে আসতে হতো বিকল্প পথে।
অবশেষে ওই সকল গ্রামবাসিদের ঘুরপথে যাতায়াতে দুর্ভোগ ও কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে। তাদের স্বপ্নপূরণ ও প্রত্যাশিত সেতুটি নির্মানে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে প্রায় ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে নেত্রকোনার খারনৈ ইউনিয়নের মঙ্গলেশ্বরী নদীর উপর সেতু নির্মানের কাজ হাতে নিয়েছে।
সোমবার দুপুরে ১০২ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৬ ফুট প্রশস্ত এ সেতুর নিমান কাজের উদ্বোধন করেন খারনৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হক। দীর্ঘদিন ধরে তিনিসহ সংশ্লিষ্ট ইউপির সদস্যগণ এ সেতুটি নির্মাণে আন্তরিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করে আসছিলেন।
এর আগে বামনগাঁও বৈঠাখালী এলাকায় অয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্থানীয় যুবক রতন আকুঞ্জির সঞ্চায়নায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, খারনৈ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্কাস আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সামাদ, মো. আলমাস মিয়া, সাইফুল ইসলাম সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোস্তাক আহমেদ পলাশসহ আরো অনেকে।