বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

‘টক অব দ্য টাউন’ কানাডার বেগমপাড়া

যা যা মিস করেছেন

কানাডার বেগমপাড়া এখন শুধু সেদেশেই নয় সারাবিশ্বে আলোচিত এক নাম। গত কয়েকদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বেগমপাড়া প্রধান প্রধান শিরোনামে। আর এখন তা যেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ‘টক অব দ্য টাউন’।

চলতি বছরের প্রথমদিকে ঢাকার পত্রপত্রিকায় দুর্নীতি এবং ব্যাংকিংখাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কিছু ব্যক্তির কানাডায় বসতি স্থাপনের খবর প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে জানুয়ারি থেকেই তারা শুরু করে সামাজিক আন্দোলন।

‘রুখো লুটেরা বাঁচাও স্বদেশ’ শীর্ষক আন্দোলনে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারকারী লুটেরাদের শাস্তির দাবিতে বাংলা, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় হাতে লেখা পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে বাংলাদেশি সাধারণ নাগরিকদের উদ্যোগে বছরের শুরুতে কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিয়লে প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

টরোন্টোর প্রবাসী বাঙালি লিটন মাসুদ জানান, দুর্নীতিবাজ লুটেরা, অর্থপাচারকারী এদের কোন দল নেই এরা দেশ ও জাতির শত্রু। কানাডায় বসবাসরত দুর্নীতিবাজদের এবং তাদের পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন‍্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

টরোন্টো প্রবাসী বাঙালি খালেদ শামীম জানান, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জন্মভূমি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি এবং আবাসভূমি হিসেবে কানাডার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।লুটেরাদের প্রতি আমাদের পরিষ্কার বার্তা- কানাডাকে বাংলাদেশের টাকা পাচারকারী, লুটেরাদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া হবে না।

কানাডায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসছে। কানাডায় সন্দেহভাজন আর্থিক লেনদেন দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফেডারেল সংস্থা ফিনট্র্যাক সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে।

দ্য ফাইনান্সিয়াল ট্রানজেকশনস অ্যান্ড রিপোর্ট এনালাইসিস সেন্টার অব কানাডা (ফিনট্র্যাক) সম্প্রতি গত এক বছরে ১৫৮২ টি ঘটনা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি সারাদেশ থেকে খুঁজে বের করা মুদ্রা পাচারকারীদের বিস্তারিত তথ্য কানাডীয়ান সিকিউরিটিজ ইনটেলিজেন্স সার্ভিস এবং আরসিএমপির কাছে হস্তান্তর করেছে।

জানা গেছে, ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানি, শেয়ারবাজারের ব্রকার, রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজ এবং ক্যাসিনো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেডারেল এই সংস্থাটি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মুদ্রা পাঁচারের ঘটনা উদঘাটন করে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, কোভিডের মধ্যেও বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে কানাডায় আসছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ফিনট্র্যাক বাড়তি তদন্ত শুরু করে। রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজগুলোয় গোয়েন্দাদের বাড়তি নজর রয়েছে বলে জানা যায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশেরও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমন সময় বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থপাচারকারী ২৮ জনের তথ্য থাকার কথা জানান। তারপরই কানাডার ফেডারেল সংস্থা ১৫৮২টি মুদ্রা পাচারের তথ্য বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে।

তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে থাকা ২৮ জনের তথ্য আর কানাডার ফিনট্র্যাকের তথ্যের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কী না তা নিশ্চিত হ্ওয়া যায়নি।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security