পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পেঁয়াজ, রসুন, ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। উর্বর মাটিসমৃদ্ধ এই দেশকে কৃষিপণ্যে স্বাবলম্বী করতে আরও মনোযোগের সাথে কাজ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সকল পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে না হলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো উন্নত হবে।
আজ মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় রবি ২০২০-২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাঁর ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারের বেশি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, অতীতে গ্রামের মানুষদের তেমন কোনো ভোগ্যপণ্য কিনতে হতো না কারণ তাঁরা নিজেদের জমিতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ফসলের উৎপাদন করতো। কৃষির সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান বৃদ্ধি করতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক।
উল্লেখ্য, রবি ২০২০-২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জুরী উপজেলার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ১৩৫০ কেজি সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভূট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো বীজ এবং ৭ হাজার ৫০০ কেজি ডাই এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ৬৮৫০ কেজি মিউরেট অভ্ পটাস (এমওপি) সার বিতরণ করা হবে।