বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

আপনি কি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন?

যা যা মিস করেছেন

অতিরিক্ত ক্ষুধা বা তৃষ্ণা, ওজন কমা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস প্রভৃতি উপসর্গ সাধারণত ডায়াবেটিসের লক্ষণ। কিন্তু লক্ষণগুলো সব সময় না-ও থাকতে পারে। প্রতি ২ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে ১ জন জানেন না যে তিনি এ রোগে আক্রান্ত। অনেক ক্ষেত্রে চোখের জটিলতা, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, পায়ে পচন, খোস-পাঁচড়া প্রভৃতি জটিলতা নিয়ে ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়। সঠিক সময়ে রোগনির্ণয় তাই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ও জটিলতা প্রতিরোধের অন্যতম পূর্বশর্ত। তাই ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ না থাকলেও যাঁরা ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁদের নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিত।

কারা ঝুঁকিপূর্ণ

* বয়স ৪৫ বা তার বেশি

* স্থূল ব্যক্তি

* রক্ত-সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস থাকলে

* শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি

* গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা অধিক ওজনের সন্তান প্রসবের পূর্ব ইতিহাস

* পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম

* উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদ্‌রোগ

* রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি এবং এইচডিএলের মাত্রা কম থাকলে

তা ছাড়া গর্ভবতী নারীদের সময়মতো ডায়াবেটিস নির্ণয় না হলে, বেশি ওজনের শিশু জন্মদান, অকালগর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, প্রসব-পরবর্তী শিশুমৃত্যু, জন্মগত ত্রুটি বা প্রসব-পরবর্তী মা ও সন্তানের বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।

শিশুদের সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। তবে ১৮ বছরের নিচেও টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকার আশঙ্কা থাকে। তাই স্থূলকায় বাচ্চা এবং সেই সঙ্গে রক্তসম্পর্কীয় নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস বা মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে অথবা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের উপসর্গ যেমন: ঘাড়ের কালো দাগ, উচ্চরক্তচাপ, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম প্রভৃতি থাকলে ১০ বছর বয়সের পর যেকোনো শিশুর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security