ব্যায়াম, ডায়েট মেনে খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এর সবই মানুষ করে থাকে সুস্থ থাকতে ও ওজন কমাতে। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যস্ততার কারণে অনেক দিনের জমে থাকা ওজন কমাতে পারে আর কয়জনই বা? তবে প্রতিদিনের রুটিনেই যদি অল্প কিছুটা সময় বের করে ফেলতে পারেন, তা হলে কিছুটা সমাধান পাবেন। অফিস, ঘরবাড়ি, সন্তানের লেখাপড়ার ফাঁকে তাই কিছুটা সময় বের করে নিন এবং সকালের প্রথম খাওয়াটাকে গুরুত্ব দিন।
খাদ্যপিরামিড মেনে চলুন। সকালের প্রথম খাওয়াটাই হতে হবে ভারি, দিনের অন্যান্য খাওয়ারগুলোর চেয়ে বেশি। তাই তা বাদ দেয়া বা ছোটখাটো খাবারে পেট ভরানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। সারা রাত খালি পেটের পর নাস্তা বাদ গেলেও শরীরের ওজন দ্রুত বাড়ে।
নাস্তায় চা-কফি খাবেন না। এতে ক্যাফিনে আসক্তি বাড়ে। তার চেয়ে নাস্তায় রাখুন কিছু ফল। আবার ফলের জুসও খেতে পারেন। তবে অবশ্যই বাড়িতেই জুস বানিয়ে খেতে হবে। আর চিনি মেশানো যাবেন না।
ভারি খাবারের তালিকায় রাখুন ওটস, কর্ণফ্লেক্স জাতীয় খাবার। ওমলেট বা পোচ নয়, সকালে খান সেদ্ধ ডিম এতে তেল এড়ানো সম্ভব হবে। মাঝে মাঝে পোচ খেতে ইচ্ছা করলে তাও অল্প তেলে খেতে পারেন।
প্রোটিনের পরিমান বাড়ান সকালের নাস্তায়। এক বাটি মুসুর ডাল, দুইটি সেদ্ধ ডিম ও দুধে ওটস মিশিয়ে খাওয়া অন্যতম সেরা সকালের নাস্তা।
শেষ স্যালাড খান। ডিম, সবজি ও মাংস দিয়ে বানাতে পারেন পছন্দের স্যালাড। কিন্তু তাতে স্বাদ বাড়াতে চিজ, মাখন বা মেয়োনিজ যোগ করবেন না।
ভিন্ন কিছু খেতে চাইলে ব্রাউন হোলগ্রেন ব্রেডে মাখন-চিজ ছাড়া সবজি দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিন। তবে প্রতিদিন স্যান্ডউইচ খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে।