বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর বদলে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে মন্ত্রিসভা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিন কোনো সরকারি ছুটি থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে আর সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভার নিয়মিত এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
‘দিনটি ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণ এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। এই ভাষণ কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে। ’
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। সে বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। তাই মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে। যেমন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালনপালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।