বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

৭মার্চকে”ঐতিহাসিক দিবস”ঘোষণার অনুমোদন

যা যা মিস করেছেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর বদলে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে মন্ত্রিসভা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে  মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিন কোনো সরকারি ছুটি থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে আর সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভার নিয়মিত এই বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

‘দিনটি ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণ এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। এই ভাষণ কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে। ’

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। সে বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। তাই মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম  বলেন, এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে। যেমন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালনপালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security